Advertisement

১৪ নারী এফ-কমার্স উদ্যোক্তার তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী

প্রকাশ: ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তার তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী চলছেসংগৃহীত
ধানমন্ডিতে নারী উদ্যোক্তার তৈরি পণ্যের প্রদর্শনী চলছেসংগৃহীত

ফেসবুক পেজভিত্তিক উদ্যোগ দেশজ ক্রাফটসের চতুর্থ বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ঢাকায় চলছে ‘ষড়ঋতুর বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক প্রদর্শনী। এতে এফ-কমার্স খাতের ১৪ নারী উদ্যোক্তা তাঁদের ‘সিগনেচার’ পণ্য প্রদর্শন করছেন। রাজধানীর ধানমন্ডির ৪ নম্বর সড়কে সফিউদ্দিন শিল্পালয়ে গত রোববার প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। প্রদর্শনীটির উদ্বোধন করেন চিত্রশিল্পী আবদুল মান্নান ও আবৃত্তিকার জয়ন্ত রায়। ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে এ প্রদর্শনী। প্রদর্শনী দেখা যাবে বিনা মূল্যে।

প্রদর্শনীতে অংশ নেওয়া নারী উদ্যোক্তাদের একেকজনের গল্প একেক রকম। কথা হলো চারুদিয়ার স্বত্বাধিকারী নিশাত তাসনিমের সঙ্গে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতকোত্তর শ্রেণিতে পড়ছি। পড়াশোনার পাশাপাশি আমার এ উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছি। আমার ফেসবুক পেজ চারুদিয়ায় আমার তৈরি সব পণ্যের হালনাগাদ পাওয়া যাবে। এখন দেশের বাইরেও পণ্যগুলো যাবে।’

জাদুরহাট পেজের উদ্যোক্তা আসমা উল হোসনা বলেন, ‘চাকরি ছেড়ে উদ্যোক্তা হয়েছি। চাকরি ভালোই চলছিল, বেতনও খারাপ ছিল না। তবে আমি চেয়েছি নিজে কিছু করতে। নিজে কিছু করার তাগিদ থেকেই আমার এ উদ্যোগ জাদুরহাট। আমি চরাঞ্চলের মানুষদের দিয়ে কাঁথা, শাড়ি তৈরি করিয়ে থাকি।’

প্রদর্শনীতে ১৪ উদ্যোক্তার ‘সিগনেচার’ পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। এতে ভেজিটেবল ডাই, ব্লকপ্রিন্ট, খাদি, নকশিকাঁথা, এমব্রয়ডারি, কাঁসা-পিতল, পাট, পাহাড়ি পণ্য, হাতে তৈরি গয়না, মাটির জিনিসপত্র, হাতে আঁকা পোশাক, ঘর সাজানোর পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। অংশগ্রহণকারী উদ্যোগগুলো হলো চারুদিয়া, জাদুরহাট, শ্যামা লাইফস্টাইল, দয়ীতা, তাহার, লিটল ক্রিয়েশন অব আফরিন, যারিন’স ক্রিয়েশন, সিম্ফনি অব বিডস, হডক, রিয়া’স ক্রিয়েশন, বক্স অব অর্নামেন্টস, এফ জেড কালেকশন, লেইসফিতা ও বি বাসিনী।

২০২০ সালের ৭ ডিসেম্বর ‘বিশ্বে দেশের ঐতিহ্য’ স্লোগানে যাত্রা শুরু করে দেশজ ক্রাফটস, জানালেন এর প্রতিষ্ঠাতা নিশাত মাসফিকা। তিনি বলেন, ‘শুরু থেকেই দেশজ ক্রাফটস চেষ্টা করছে উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ ব্র্যান্ডের পরিচয়ে পরিচিত করতে। সে লক্ষ্যে ব্যবসা ও দক্ষতা বাড়ানোর জন্য কাজ করে যাচ্ছে দেশজ ক্রাফটস। আমরা শুধু দেশি পণ্য নিয়েই কাজ করে থাকি।’

Lading . . .