পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফখর জামানইনস্টগ্রাম

ফখর জামানের জন্য পাকিস্তান দলের দরজা খোলা

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) পড়ার পরই প্রশ্নটা উঠেছিল—পাকিস্তানের জার্সিতে ফখর জামানকে ভবিষ্যতে দেখা যাবে তো?

উত্তর পেতে সময় লাগেনি। ফখরকে বাদ দিয়েই সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়া সফর করেছে পাকিস্তান দল। সেখান থেকে গেছে জিম্বাবুয়েতে। জিম্বাবুয়ে সফরের দলেও নেই ৩৪ বছর বয়সী বাঁহাতি ওপেনার।

তবে আকিব জাভেদের চাওয়ায় ফখরের জন্য জাতীয় দলের দরজা আবারও খুলে যেতে পারে। জিম্বাবুয়ের উদ্দেশে রওনা হওয়ার আগে গতকাল সাংবাদিকদের আকিব নিজেই জানিয়েছেন ফখরের ফেরার সম্ভাবনার কথা।

অনেক নাটকের পর গত সোমবার আকিব জাভেদকে পাকিস্তানের সাদা বলের হিসেবে নিয়োগ দেয় পিসিবি। নিজেদের মাঠে ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন সাবেক এই ফাস্ট বোলার ও পিসিবির নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক।

আকিবের সঙ্গে ফখরের সম্পর্কটা বেশ পুরোনো। পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) ফখর খেলেন লাহোর কালান্দার্সে। পিসিবির দায়িত্বে আসার আগে লাহোরের ক্রিকেট পরিচালক ও পেস বোলিং পরামর্শক ছিলেন তিনি।

পাকিস্তান দলে ফখরের প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখে করে আকিব বলেছেন, ‘ফখর জামান একজন ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড়। সে অনেক বছর ধরে পাকিস্তানের হয়ে পারফর্ম করছে। এই মুহূর্তে ফিটনেস–জাতীয় কিছু সমস্যায় ভুগছে। তবে ফিটনেস ফিরে পেলেই নির্বাচক কমিটি তাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারটি পুনর্বিবেচনা করে দেখবে।’

আকিব আরও বলেন, ‘ফখরের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত আছে। ফিট হলেই তাকে আমরা আবার (পাকিস্তানের হয়ে) খেলতে দেখব।’

যদিও ফখরের বাদ পড়ার পেছনে ফিটনেস-ঘাটতির চেয়ে অন্য কারণকেই বড় করে দেখা হয়েছে। গত মাসে নিজেদের মাটিতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তান প্রথম টেস্ট হারের পর বাবর আজমকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়। বাবর যে শেষ দুই টেস্টে জায়গা হারাচ্ছেন, সে খবর আগেই চাউর হয়েছিল।

ফখর খবরটা জানামাত্রই পিসিবির সমালোচনা করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দেন। এ ঘটনায় বোর্ড তাঁকে শোকজ নোটিশ পাঠায়। ৭ দিনের মধ্যে ফখর শোকজ নোটিশের জবাব দিলেও তা হয়তো পিসিবির হর্তাকর্তাদের সন্তুষ্ট করতে পারেনি। অনেকের ধারণা, সে কারণেই ফখরকে কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ফখরের সেঞ্চুরিতেই ভারতকে বড় লক্ষ্য দিয়েছিল পাকিস্তান। পরে মোহাম্মদ আমির-হাসান আলীদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৮০ রানের জয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপেও বেশ ভালো করেছেন ফখর। ৪ ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে একটি করে সেঞ্চুরি ও ফিফটি পেয়েছেন।

আরেকটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি যখন সামনে, তখন ওয়ানডের দিকেই বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন আকিব, ‘এই মুহূর্তে আমাদের মনোযোগের কেন্দ্রে ওয়ানডে ক্রিকেট। এই সংস্করণে আপনারা গোছানো দল দেখতে পারবেন। তবে টি-টোয়েন্টিতে আমরা নতুনদের সুযোগ দেব। নতুনদের সুযোগ না দিলে আপনি বেঞ্চ শক্তি বাড়ানোর সুযোগ পাবেন না।’

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাকিস্তানের ওয়ানডে সিরিজ শুরু আগামী রোববার। টি-টোয়েন্টি সিরিজ ১ ডিসেম্বর থেকে। মোহাম্মদ রিজওয়ান ওয়ানডেতে নেতৃত্বে থাকলেও টি-টোয়েন্টিতে তিনি বিশ্রামে থাকবেন।