অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়া শান্তর সঙ্গে আলোচনা

অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়া শান্তর সঙ্গে আলোচনা

এক বছরের জন্য নাজমুল হোসেন শান্তকে অধিনায়ক করেছিল বাংলাদেশ। তার অধীনে দলও সাফল্য পাচ্ছিল প্রায়ই। কিন্তু ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স খুব একটা আশার নয়। এ নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে জোরেশোরে আলাপও শুরু হয়েছে। বিশেষত পাকিস্তানে ঐতিহাসিক সিরিজ জয়ের পর টানা তিন টেস্ট হারে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আগামী ২৯ অক্টোবর থেকে দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নামবে বাংলাদেশ। এর মধ্যেই খবর, অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিতে চান শান্ত। এটি নাকি বিসিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবেও জানিয়ে দিয়েছেন শান্ত। ক্রিকবাজের এমন খবরের পর এ নিয়ে জানতে চাওয়া হয় বিসিবি পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিমের কাছে।

শনিবার মিরপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমিও টিভি স্ক্রলে দেখেছি, আপনাদের কাছ থেকেই শুনেছি অফিশিয়ালি সে নাকি ঘোষণা করেছে কোথাও না কোথাও। যদি হয়ে থাকে অফিশিয়াল কোনো ডকুমেন্ট আমার কাছে আসেনি। আমি এখনও অফিশিয়ালি জানতে পারিনি যে এটার সত্যতা কতটুকু। যদি হয়ে থাকে এটা আমাদের জন্য একটা বড় খবর। ’

‘ক্রিকেট বোর্ডকে অনেক বড় বড় স্টেপ নিতে হবে নতুন অধিনায়ক যদি তৈরি করতে হয় অথবা তাকে বুঝিয়ে রাখা হয় কি না। আমাদের বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কারণ এখন একটা ঘটনা জানা গেছে এখন আমাদের বিচার বিবেচনা করতে হবে আমাদের কী অবস্থা, কী সিদ্ধান্ত নেবো। এটার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ’

আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্ত সব ফরম্যাটেই অধিনায়ক থাকার কথা ছিল শান্তর। মূলত ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর ওই ফরম্যাটের নেতৃত্ব ছাড়ার ভাবনা ছিল তার। কিন্তু এখন সব ফরম্যাটেই দায়িত্ব ছাড়তে চান। শান্তর সঙ্গে বিসিবি কি কোনো আলোচনা করবে?

ফাহিম বলেন, ‘অবশ্যই বিসিবি আলোচনা করতে চাইবে। কারণ শান্ত এতদিন ধরে অধিনায়কত্ব করে আসছে। এটা তো আমাদের সময়েরও বিনিয়োগ। আমরা একজনকে তৈরি করার চেষ্টা করেছি। সে যদি হঠাৎ করে সরে যায়। নতুন আরেকজন সে তো অপ্রস্তুত। ’

‘সেটাতে আমাদের যেতে না চাওয়াটাই স্বাভাবিক হবে। তারপরও এমন ঘটনা ঘটতেই পারে। হঠাৎ করে তিন চারটা উইকেট পড়ে গেলে খেলা শেষ হয়ে যায় না। এখানেও তাই। কোনো না কোনো সিদ্ধান্ত নিতে হবে। সেরা সমাধান খুঁজতে হবে। ’