টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতের হার্দিক পান্ডিয়াকে ম্যাচসেরার পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অ্যান্ডি রবার্টসআইসিসি

অ্যান্ডি রবার্টসের কাছে আইসিসি মানে ‘ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজক দেশ ছিল পাকিস্তান। কিন্তু সেই টুর্নামেন্টে ফাইনালসহ নিজেদের সব ম্যাচ ভারত খেলল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে। এ কারণে চ্যাম্পিয়নরা বাড়তি সুবিধা পেয়েছে বলে সমালোচনা হচ্ছে। সেই সমালোচকদের একজন ছিলেন ক্রিকেটে ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ভিভ রিচার্ডস। এবার ভারতের সমালোচনায় ভিভের সঙ্গী হয়েছেন তাঁর সতীর্থ অ্যান্ডি রবার্টস।

ভিভের চেয়ে অবশ্য বেশি চাঁচাছোলা হয়েছেন দুবারের বিশ্বকাপজয়ী সাবেক এই ফাস্ট বোলার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চাপে নতজানু হয়ে থাকায় আইসিসিকেও সরাসরি আক্রমণ করেছেন রবার্টস।

আমার কাছে আইসিসি মানে হলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতই তো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কাল ভারত বলে, “শোনেন নো বল আর ওয়াইড থাকার দরকার নেই” আমি বলছি, ধরে নেন আইসিসি ভারতের দাবি মেনে নিতে কিছু একটা বের করে ফেলবে।
অ্যান্ডি রবার্টস, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি পেসার

ভারতীয় পত্রিকা মিড ডেকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রবার্টস বলেন, ‘এর একটা বিহিত হওয়া দরকার…ভারত তো সবকিছু পেতে পারে না। কোনো কোনো সময় আইসিসির উচিত ভারতকে না বলা। ভারত সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাড়তি সুবিধা পেয়েছে। সেমিফাইনালে উঠলে কোথায় খেলবে, সেটি তারা আগেই জেনে গিয়েছিল। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারতকে ভ্রমণই করতে হলো না। কোনো টুর্নামেন্টে একটি দল কীভাবে ভ্রমণ না করে পারে।’

আইসিসি আর বিসিসিআইয়ের মধ্যেও আজকাল কোনো ফারাক খুঁজে না পাওয়ার কথাও বললেন ৭৪ বছর বয়সী রবার্টস, ‘আমার কাছে আইসিসি মানে হলো ইন্ডিয়ান ক্রিকেট বোর্ড। ভারতই তো সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে। যদি কাল ভারত বলে, “শোনেন নো বল আর ওয়াইড থাকার দরকার নেই” আমি বলছি, ধরে নেন আইসিসি ভারতের দাবি মেনে নিতে কিছু একটা বের করে ফেলবে।’

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত বাড়তি সুবিধা পেয়েছে, এই দাবি অবশ্য মানেন না ভারতীয়রা। চ্যাম্পিয়নস ট্রফি চলার সময়ই ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর বলেছিলেন, ‘কিসের বাড়তি সুবিধা? আমরা তো এখানে (দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে) এক দিনও অনুশীলন করিনি। আমরা অনুশীলন করেছি আইসিসি একাডেমিতে। দুই ভেন্যুর কন্ডিশনে তো ১৮০ ডিগ্রি তফাত।’