পিছিয়ে পড়েও ২ ডিফেন্ডারের গোলে জিতল ম্যানচেস্টার সিটি
ম্যানচেস্টার সিটির ত্রাতা হবেন—জন স্টোনস যেন সেই পণ করেই এবারের মৌসুমে খেলতে নামছেন। সেপ্টেম্বরে স্টোনসের শেষ মুহূর্তের গোলেই শিরোপার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের বিপক্ষে হার এড়িয়েছিল সিটি। আজ উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষেও ম্যাচের যোগ করা সময়ে দারুণ এক হেডে গোল করলেন স্টোনস। এর আগে ম্যাচে সমতা ফেরান দলটির আরেক ডিফেন্ডার ইওস্কো গাভারদিওল।
তাতে শুরুতে পিছিয়ে পড়েও উলভসকে ২-১ গোলে হারিয়ে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় কয়েক ঘণ্টার জন্য হলেও শীর্ষে উঠে গেল সিটি, দুইয়ে নেমে গেল লিভারপুল। মৌসুমে এখনো কোনো জয় না পাওয়া উলভস তলানিতেই পড়ে রইল। কিছুক্ষণ আগে নিজেদের মাঠ অ্যানফিল্ডে চেলসির বিপক্ষে খেলতে নেমেছে লিভারপুল। আবারও শীর্ষে উঠতে হলে সালাহ-ফন ডাইকদের ম্যাচটা জিততেই হবে। এ মুহূর্তে ৮ ম্যাচে সিটির পয়েন্ট ২০, লিভারপুলের ১৮।
প্রিমিয়ার লিগের টানা চারবারের চ্যাম্পিয়ন সিটি গত মৌসুমে মাত্র তিনটি ম্যাচ হেরেছিল। এর একটি উলভসের মাঠ মলিনু স্টেডিয়ামে। আজ একই মাঠে ম্যাচের ৭ মিনিটেই ইওর্গেন লারসেনের গোলে উলভস এগিয়ে গেলে নিজেদের ডেরায় সিটিকে টানা দ্বিতীয়বারের মতো হারানোর স্বপ্ন বুনতে থাকে দলটির সমর্থকেরা। কিন্তু ৩৩ মিনিটে দূরপাল্লার বুলেট গতির শটে সমতা ফিরিয়ে উলভস সমর্থকদের ভুল প্রমাণ করেন গাভারদিওল। প্রিমিয়ার লিগে এ বছর এটি তাঁর ষষ্ঠ গোল, যা ডিফেন্ডারদের মধ্যে সর্বোচ্চ।
বিরতির পর সিটি স্বাভাবিকভাবেই জয়সূচক গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। তবে উলভসের জমাট রক্ষণ হলান্ড-গুন্দোয়ানদের ভালোভাবেই আটকে রাখে। ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি হতে চলেছে বলে যখন মনে হচ্ছিল, তখনই ব্যবধান গড়ে দেন স্টোনস। যোগ করা সময়ের ৫ মিনিটে পাওয়া সিটির কর্নার নেন বদলি ফিল ফোডেন। বক্সের জটলায় লাফিয়ে উঠে তা থেকে মাথা ছুঁয়ে উলভসের জালে বল পাঠান স্টোনস।
যদিও গোলের পর উলভসের খেলোয়াড়েরা দাবি করেন, সিটির বের্নার্দো সিলভা গোলকিপার জোসে সার সামনে দাঁড়িয়ে তাঁর বল দেখায় বাধা দিয়েছেন। তবে রেফারি ভিএআর যাচাইয়ের পর স্টোনসের গোলটি বহাল রাখেন।