প্রথম লেগে এগিয়ে থাকা বার্সেলোনা দ্বিতীয় লেগের শুরুটা করে দুর্দান্ত। নিজেদের মাঠে উপহার দেয় আক্রমণাত্মক ফুটবল। তার ফলও পায় তারা। রাফিনিয়ার জোড়া গোল ও লামিনে ইয়ামালের গোলে সহজ জয়ে নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল।
গতকাল রাতে অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে বেনফিকাকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে বার্সা। মোট ৪-১ গোলের অগ্রগামিতায় তারা পৌঁছায় শেষ আটে।
ঘরের মাঠে এগিয়ে যেতে খুব বেশি সময় নেয়নি বার্সা। একাদশ মিনিটেই এগিয়ে যায় তারা। পায়ের কারিকুরিতে বল টেনে নিয়ে ক্রস বাড়ান ইয়ামাল। দারুণ এক ভলিতে জাল খুঁজে নেন রাফিনিয়া। দুই মিনিট পর সমতায় ফেরে বেনফিকা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল হেডে জালে পাঠান নিকোলাস ওতামেন্দি। বার্সা গোলরক্ষকের হাত ছুঁয়ে বল চলে যায় জালে।
২৭তম মিনিটে দলকে ফের এগিয়ে নেন ইয়ামাল। রাফিনিয়ার ক্রস থেকে বল টেনে নিয়ে একজনকে কাটিয়ে জায়গা বানিয়ে দারুণ এক কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন স্প্যানিশ এই তরুণ। ঝাঁপিয়েও বল ঠেকাতে পারেননি বেনফিকা গোলরক্ষক। ৪২তম মিনিটে ব্যবধান বাড়ান রাফিনিয়া। আলেহান্দ্রো বাল্দের টেনে আনা বল বক্স থেকে গোলরক্ষককে পরাস্ত করে জালে পাঠান ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ১০ ম্যাচে এ নিয়ে ১১ গোল করলেন রাফিনিয়া। সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৫টি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক আসরে ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড়দের মধ্যে সর্বোচ্চ গোলের কীর্তি গড়লেন তিনি। বার্সেলোনার হয়েই ১৯৯৯-২০০০ মৌসুমে রিভালদো ও ২০১৪-১৫ মৌসুমে নেইমার করেছিলেন ১০ গোল।
বিরতির পরও আক্রমণের ধারা বজায় রাখে বার্সেলোনা। তবে এই অর্ধে কোনো গোল পায়নি তারা। বেনফিকাও আর করতে পারেনি কামব্যাক। ফলে দারুণ জয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যায় কাতালানদের।