এক বার ট্যান পড়ে গেলে তা তুলতে প্রাণ বেরিয়ে যায়। সেই কারণেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি। ব্রণ হয় বলে অনেকেই সানস্ক্রিন মাখেন না। আবার সানস্ক্রিন ব্যবহারের অভ্যাস না থাকার কারণেও ত্বকে ট্যান পড়ে। ট্যান পড়ে যাওয়ার পরেই টনক নড়ে। তখন ত্বকের রোদে পোড়া দাগ তুলতে উঠে পড়ে লাগতে হয়।
ঘরোয়া টোটকা থেকে দামি সংস্থার ফেসপ্যাক, স্ক্রাবার— সব কিছু ব্যবহার করেও ট্যান ফিকে হয় না। তখন ভরসা রাখা যায় কিছু সবজির ওপর। কিছু সবজি শুধু স্বাস্থ্যের জন্য নয়, ট্যান দূর করার জন্যেও উপকারী।
টমেটো
রূপচর্চায় টমেটোর ভূমিকা রয়েছে। ট্যান তোলার কাজেও টমেটো ব্যবহার করা যায়। টমেটো দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। আবার টমেটোও সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্টার্চ আছে বলে মিষ্টি আলু বেশি না খেলেও, ট্যান দূর করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। মিষ্টি আলু ট্যান দূর করার ক্ষেত্রে বেশ কার্যকরী। এই আলু দিয়ে কিছু ঘরোয়া প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করা যায়।
চোখের যত্ন গাজর বেশ উপকারী। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গাজরের ভূমিকা অনবদ্য। তবে ত্বকের ট্যান দূর করতেও গাজর ব্যবহার করা যায়। গাজরে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের উপাদান, যা ত্বকের রোদে পোড়া দাগ মিলিয়ে দেয় সহজেই।
শীত মৌসুমের সবজি হলেও বাজারে ফুলকপি দেখা যায় বারোমাসে। ত্বকের ট্যান দূর করতে ফুলকপিও ভরসাযোগ্য। অনেকেই ফুলকপির এই গুণটির কথা জানেন না। ফুলকপিতে থাকা বিভিন্ন উপাদান জেদি দাগও সহজে দূর করে।
শুধু মিষ্টি আলু নয়, জ্যোতি কিংবা চন্দ্রমুখীও ট্যান দূর করার কাজে কার্যকরী। আলুর রস ত্বকের জেদি দাগ ফিকে করে দেয়। ত্বক ট্যানমুক্ত রাখতে তাই আলু ব্যবহার করতে পারেন।