চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে বায়ার্ন, ইন্টার মিলান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে বায়ার্ন, ইন্টার মিলান

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ আটে পৌঁছে গেছে জার্মান জায়ান্ট বায়ার্ন মিউনিখ এবং ইতালিয়ান জায়ান্ট ইন্টার মিলান। ফিরতি লেগের ম্যাচে বায়ার লেভারকুসেনের মাঠে গিয়ে ০-২ গোলে জয় পেয়েছে বায়ার্ন।

অন্যদিকে ঘরের মাঠে ডাচ ক্লাব ফেয়েনুর্দ রটারডামকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইন্টার। ইতালিয়ান ক্লাবটি শেষ আটে পৌঁছাল ৪-১ ব্যবধানের জয়ে।

বায়ার লেভারকুসেন ০ (০) : (৫) ২ বায়ার্ন মিউনিখ

প্রথম লেগের ম্যাচেই বায়ার্ন কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছিলো। ঘরের মাঠে তারা বায়ার লেভারকুসেনকে হারিয়েছিলো ৩-০ গোলে। ফিরতি লেগে নিজেদের মাঠে বায়ারকে জিততে হতো অন্তত ৪ গোলের ব্যবধানে। যা অনেকটাই অসম্ভব কাজ ছিল।

কিন্তু জয় তো দুরে থাক, উল্টো ঘরের মাঠেও হারলো জাবি আলোনসোর শিষ্যরা। বায়ার্নের হয়ে এই ম্যাচে গোল করেন হ্যারি কেইন এবং আলফোনসো ডেভিস। দুই লেগ মিলে বায়ার্ন জিতলো ৫-০ গোলের ব্যবধানে। শেষ আটে বায়ার্ন মুখোমুখি হবে ইন্টারমিলানের।

হ্যারি কেইন বায়ারের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও করেছিলেন জোড়া গোল। এই ম্যাচের ৫২তম মিনিটে গিয়ে বায়ার লেভারকুসেনের গোলের তালা ভাঙেন কেইন। সে সঙ্গে তিনি হয়ে যান প্রথম ইংলিশ ফুটবলার, যিনি ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতায় এক মৌসুমে ১০ গোল করার রেকর্ড গড়লেন তিনি।

৭১তম মিনিটে আলফোনসো ডেভিস যে গোল করলেন, সেখানে অ্যাসিস্ট ছিল হ্যারি কেইনেরই। মূলত তার বানিয়ে দেয়া বলে এক টাচেই লেভারকুসেনের জালে জড়ান ডেভিস।

ম্যাচ শেষে হ্যারি কেইন বলেন, ‘এটা ছিল সত্যিই দুর্দান্ত এক পারফরম্যান্স। প্রথম মিনিট থেকেই আমরা এমন ছিলাম না যে, আমাদেরকে কেউ হারাতে পারে। আমরা চেয়েছি প্রথম থেকে ফ্রন্টফুটে থাকতে, চাপ তৈরি করতে এবং গোলের সুযোগ তৈরি করতে, যাতে ম্যাচটা জিততে পারি।’

ইন্টারমিলান ২ (৪) : (১) ১ লেয়েনুর্দ রটারডাম

প্রথম লেগে নেদারল্যান্ডসে গিয়ে ফেয়েনুর্দের মাঠ থেকে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছিল ইন্টারমিলান। কোয়ার্টার ফাইনাল বলা যায় তখন নিশ্চিতই করে ফেলেছিলো তারা। কারণ, ফিরতি লেগে ফেয়েনুর্দকে জিততে হতো অন্তত ৩ গোলের ব্যবধানে। যা ইন্টারের মাঠ থেকে প্রায় অসম্ভব।

Inter Milan

Inter Milan

উল্টো ২-১ গোলে হেরে বাড়ির পথ ধরতে হয়েছে ফেয়েনুর্দকে। দুই লেগ মিলিয়ে ডাচ ক্লাবটির পরাজয় ৪-১ গোলে। তাদেরকে হারিয়ে শেষ আট নিশ্চিত করলো সিরি আ’র শীর্ষে থাকা ক্লাব ইন্টার মিলান। শেষ আটে তাদের প্রতিপক্ষ বায়ার্ন মিউনিখ।

ইন্টার মিলান সর্বশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ২০১০ সালে। সেবার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখকে হারিয়েছিলো ইন্টার। সব মিলিয়ে সেবার ট্রেবল জিতেছিলো তারা। এবারও সে সম্ভাবনা আছে। যদি চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিততে পারে! সঙ্গে কোপা ইতালিয়ার সেমিফাইনালে খেলবে তারা, আছে সিরি আ’র শীর্ষে।

মঙ্গলবার ম্যাচের ৮ম মিনিটেই গোলের সূচনা করেন মার্কাস থুরাম। ৪২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ফেয়েনুর্দকে সমতায় ফেরান জ্যাকব মদার। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে, ৫১তম মিনিটে ইন্টারের জয়সূচক গোলটি করেন হাকান চালহঙলু।