নিয়মিত, অনিয়মিত সদস্যদের দাবির মুখে শেষ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি গঠন করেছে অভিনয় শিল্পী সংঘ। গত বুধবার রাজধানীতে অনুষ্ঠিত বিশেষ সাধারণ সভায় অভিনেতা তারিক আনাম খানকে কমিটির প্রধান করা হয়েছে।
সন্ধ্যা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত রাজধানীর মহাখালীতে অনুষ্ঠিত সভায় সিদ্ধান্ত হয়, অভিনয় শিল্পী সংঘের বর্তমান কমিটি বহাল থাকবে। যেহেতু সংস্কারের বিষয়টি আসছে, তাই অন্তর্বর্তী সংস্কার কমিটি করা হয়েছে, যার প্রধান তারিক আনাম খান।
তাঁর সঙ্গে আরও চারজন সদস্য থাকবেন। সমিতির নির্বাহী দায়িত্ব পালন করবে সংস্কার কমিটি। আর দাপ্তরিক কাজগুলো করবে বর্তমান কমিটি। পাশাপাশি তারা সংস্কার কমিটিকে সহযোগিতা করবে। আগামী চার মাসের মধ্যে সাধারণ সভার আয়োজন করতে হবে।
সংস্কার কমিটির দেওয়া সুপারিশগুলো সাধারণ সভায় পাস হতে হবে। ওই সভা থেকেই পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠন করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের পর নির্বাচিত নতুন কমিটির কাছে বর্তমান কমিটি ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।
সংস্কার কমিটির প্রধান তারিক আনাম খান বিশেষ সাধারণ সভা প্রসঙ্গে বলেন, ‘অনেক দিন থেকেই সংগঠনটির কিছু সংস্কার দরকার হয়ে পড়েছিল। অনেক সদস্য এসব বিষয়ে কথাও বলে আসছিল। সর্বশেষ ৫ আগস্টের সরকার পতনের আগের কার্যক্রম নিয়ে সংগঠনের কারও কারও বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে সংগঠনের ভেতরে–বাইরে কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল। সমাধানের পথ খুঁজতেই এ বিশেষ সাধারণ সভা।’
সংস্কার কমিটির প্রধান হিসেবে কোন কোন বিষয়ে গুরুত্ব দেবেন, জানতে চাইলে এই অভিনেতার বক্তব্য, ‘শিল্পীদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই তো এই সংগঠন। শুটিং থেকে শুরু করে শিল্পীদের সুবিধা–অসুবিধাগুলোও এই সংগঠনের দেখার দায়িত্ব। সবকিছুই একটা সিস্টেমের মধ্যে আনতে হবে। শুটিংয়ের সময়, পারিশ্রমিক থেকে শুরু করে শিল্পীকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করানোসহ শিল্পীদের স্বার্থ সংরক্ষণে নানা বিষয় আসতে পারে।’
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ছোট পর্দার শিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘের মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে চুপ থাকা বা বিরোধিতা করাকে কেন্দ্র করে সংগঠনের কারও কারও বিষয়ে প্রশ্ন ওঠে। এসব নিয়ে সংগঠনের ভেতরে-বাইরে ক্ষোভ দেখা দেয়। সংগঠনটির সংস্কারের ব্যাপারেও কেউ কেউ মত দেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও সংগঠনটি নিয়ে নানা কথা ছড়াচ্ছিল।
সেই জায়গা থেকে দৃশ্যমাধ্যম শিল্পীদের ব্যানারে সমিতির সদস্য, সদস্য নন, এমন অর্ধশতাধিক নাটকের শিল্পী সংগঠনটির সংস্কারের দাবি তুলে দুই দফা মিটিং করেন। সেই জায়গা থেকেই সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে সংগঠনটির বিশেষ সাধারণ সভার আয়োজন।