ফুরিয়ে যাননি তামিম ইকবাল, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি
বিকেএসপি ৪ নম্বর মাঠে ঠিক আগের ম্যাচেই পারটেক্স স্পোর্টিংয়ের বিপক্ষে ম্যাচ জেতানো হার না মানা সেঞ্চুরি (১১২ বলে ১২৫*) উপহার দিয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তিনদিন না যেতেই আরও একটি সেঞ্চুরি ‘খান সাহেবের’ ব্যাটে।
আজ বুধবার বিকেএসপির ঠিক পাশের মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে আবার ম্যাচ উইনিং সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন মোহামেডান অধিনায়ক। এদিন তামিম উপহার দিয়েছেন ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস।
অধিনায়ক তামিমের সঙ্গে ৭৫ রানে অপরাজিত থেকে সাদাকালোদের জয়ে অবদান রেখেছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। তামিম ও অঙ্কন জুটির অবিচ্ছিন্ন ১৮৭ রানের জুটিতে মোহামেডান পেয়েছে ৯ উইকেটের দাপুটে জয়।
লক্ষ্য বড় ছিল না একদমই। জিততে প্রয়োজন ছিল ১৮৮ রানের। আগের তিন ম্যাচের একটিতেও মোহামেডান প্রতিপক্ষকে দুইশর নিচে আটকে রাখতে পারেনি।
মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাসুম আহমেদের মত জাতীয় দলের স্পিনার; এবাদত হোসেন, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আর আবু হায়দার রনির মত প্রতিষ্ঠিত পেসারে সাজানো মোহামেডানের বিপক্ষে গুলশান ক্লাব ২৯৮ রানের পাহাড়সমান স্কোর গড়ে জিতেছে ১৭৫ রানে।
পরের ২ খেলায় রূপগঞ্জ টাইগার্স (২২২/৯) ও পারটেক্সের (২১৮) মত কম শক্তির দলও মোহামেডানের বিপক্ষে দুইশর ওপরে স্কোর গড়েছে। তবে আজ সেই বিকেএসপির ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি পিচেও ব্রাদার্সকে দুইশ পার হতে দেননি মোহামেডান বোলাররা।
বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ( ৪/৩১), অফস্পিনার মিরাজ (২/৩০) আর পেসার আবু হায়দায় রনির (৩/২৪) সাঁড়াশি বোলিংয়ে ১৮৭ রানেই থেমে যায় ব্রাদার্স। প্রায় দেড় যুগ ধরে মোহামেডানের হয়ে খেলা ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন তান্না একাই খানিক লড়াই করেন। তান্নার ব্যাট থেকে আসে ৫৯ বলে ৪৩ রান। এছাড়া তরুণ আইচ মোল্লা করেন ৫৫ বলে ৩২। আর কেউ বিশের ঘরেও যেতে পারেননি।
পরপর ৩ ম্যাচে রান না পাওয়ায় বাদ গেছেন রনি তালুকদার। তার জায়গায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। কিন্তু জাতীয় দলের এ অলরাউন্ডার ওপেন করতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি। ফিরে গেছেন মাত্র ২ রান করে।
৪ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল এক প্রান্তে অনড় ছিলেন। তামিমের দায়িত্ব সচেতন ও স্বচ্ছন্দ্য ও সাবলীল ব্যাটিংয়ের ওপর এতটুকু প্রভাব ফেলতে পারেননি ব্রাদার্স বোলাররা। আর তাই টানা ২ ম্যাচে সেঞ্চুরি দেশসেরা ওপেনারের।
চৈত্রর শুরুতে বিকেএসপির চারদিক খোলা মাঠে গরমের উত্তাপে ৯৬ বলে ৯ বাউন্ডারি ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস উপহার দিয়ে তামিম দেখিয়ে দিলেন, তিনি এখনও ফুরিয়ে যাননি।
ক্যাপ্টেনের সাথে দ্বিতীয় উইকেটে দারুণ ব্যাটিং করেছেন মাহিদুল অঙ্কনও। তিনি খেলেছেন ৯৬ বলে ৭৫ রানের (৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কা) পরিপাটি ইনিংস। ১৮৭ রানের জুটিতে মোহামেডান জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছায় ১০১ বল আগে।