Advertisement

পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে

প্রকাশ: ৪ এপ্রিল, ২০২৫

আনোয়ার উল আলম চৌধুরীফাইল ছবি
আনোয়ার উল আলম চৌধুরীফাইল ছবি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক বলবৎ থাকলে তৈরি পোশাকের কিছু ক্রয়াদেশ ভারত ও পাকিস্তানে চলে যাবে। শুল্ক কম থাকায় এ দেশগুলোয় হেভি জার্সি, ডেনিম প্যান্ট, হোম টেক্সটাইলের মতো ক্রয়াদেশ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে পণ্যের দাম বাড়বে। এতে দেশটিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যেতে পারে। অন্যান্য দেশেও পাল্টা শুল্কের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে। ফলে সামগ্রিকভাবে তৈরি পোশাকের চাহিদা কমে যেতে পারে। সেটি হলে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কমবে। প্রতিযোগিতা আরও বেড়ে যাবে।

বাংলাদেশ সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক পর্যালোচনা করা। আমরা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে তুলা আমদানি করি। প্রয়োজনে আমরা আন্তর্জাতিক কটন কাউন্সিলকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দর–কষাকষি করতে পারি। আমরা তাদের বলতে পারি, তোমাদের তুলা আমরা ব্যবহার করব। এর বিপরীতে তোমরা শুল্ক কমাও। প্রয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের তুলা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে গুদাম স্থাপনের অনুমতি দেওয়া যেতে পারে। যাতে তারা দ্রুত বাংলাদেশের কারখানাগুলোকে তুলা সরবরাহ করতে পারে।

ট্রাম্পের পাল্টা শুল্কের কারণে মার্কিন ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন তৈরি পোশাকের দাম কমাতে আমাদের ওপর চাপ দেবে। পোশাকের রপ্তানি মূল্য কমে গেলে সে ক্ষেত্রে এ খাতের শিল্পমালিকদের রপ্তানি প্রণোদনা হিসেবে সরকারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা দিতে হবে। এতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) কোনো বাধা নেই। স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে উত্তরণের প্রক্রিয়া হিসেবে এরই মধ্যে পোশাক রপ্তানিসহ বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি ধরে রাখতে হলে নগদ সহায়তা বাড়াতে হবে। আমাদের মনে রাখতে হবে, রপ্তানির সঙ্গে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানও জড়িত। এ কারণে খাতটি যাতে কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। দ্রুততার সঙ্গে সরকারকে তাদের কর্মকৌশল ঠিক করে এ নিয়ে দর–কষাকষি শুরু করতে হবে। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক রপ্তানির বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্র। তাই দেশটি পাল্টা শুল্ক আরোপের যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা দরকার।

আনোয়ার–উল–আলম চৌধুরী

সভাপতি, বাংলাদেশ চেম্বার

সাবেক সভাপতি, বিজিএমইএ

Lading . . .