Advertisement
  • হোম
  • খেলা
  • শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় লিভারপুলের হতাশা

শেষ মুহূর্তের নাটকীয়তায় লিভারপুলের হতাশা

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

সালাহর গোল উদ্‌যাপনএক্স
সালাহর গোল উদ্‌যাপনএক্স

মার্সিসাইড ডার্বির ম্যাচটা হওয়ার কথা ছিল গত ডিসেম্বরের শুরুতে। কিন্তু ঝড়ের কারণে সেবার স্থগিত হয়ে যায় এভারটন-লিভারপুলের ম্যাচটি। এরপর থেকে ম্যাচটা হাতে রেখেই এগিয়ে যাচ্ছিল প্রিমিয়ার লিগের শীর্ষে থাকা লিভারপুল। অবশেষে আজ বুধবার রাতে মাঠে গড়ায় এই ম্যাচ।

যেখানে হাতে থাকা বাড়তি ম্যাচটির সুবিধা নিতে নিতেও নিতে পারল না লিভারপুল। এভারটনের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল খেয়ে পয়েন্ট হারিয়েছে ‘অল রেড’রা। ম্যাচ ড্র হয়েছে ২-২ গোলে। লিভারপুলের হয়ে গোল করেছেন অ্যালেক্সিস ম্যাক আলিস্টার ও নিজের সেরা ছন্দে থাকা মোহাম্মদ সালাহ। আর এভারটনের হয়ে গোল করেছেন বেতো ও জেমস তারকোস্কি।

গুডিসন পার্কে এই ড্রয়ের পর ২৪ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষ স্থানেই থাকল লিভারপুল। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৫০। অর্থাৎ লিভারপুল এগিয়ে আছে ৭ পয়েন্টে।

এভারটনের মাঠে মাত্র ১১ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে লিভারপুল। স্বাগতিকদের হয়ে প্রথম গোলটি করেন বেতো। তবে এই লিড বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি তারা। ১৬ মিনিটে সালাহর দারুণ এক সহায়তায় গোল করে ব্যবধান কমান আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার ম্যাক আলিস্টার।

এই গোলে সহায়তা করে আরও একটি মাইলফলক নিজের করে নিয়েছেন সালাহ। এটি ছিল চলতি মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগের অ্যাওয়ে ম্যাচে (প্রতিপক্ষের মাঠে ম্যাচ) সালাহর ২২তম গোলে অবদান (১৩ গোল ও ৯ সহায়তা)।

যা কিনা প্রতিযোগিতার ইতিহাসে নির্দিষ্ট মৌসুমে কোনো খেলোয়াড়ের সবচেয়ে বেশি গোলে অবদান। এই মাইলফলক অর্জনে সালাহ পেছনে ফেলেছেন অ্যান্ডি কোলকে। যিনি ১৯৯৩-৯৪ মৌসুমে ২১ অ্যাওয়ে গোলে অবদান রেখেছিলেন।

সমতা ফেরার পর দুই দলই সতর্ক ফুটবল খেলে। যে কারণে খুব একটা সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কোনো দল। ১-১ সমতাতেই শেষ হয় প্রথমার্ধের খেলা।

বিরতির পরও একই গতিতে চলতে থাকে খেলা। তবে লিভারপুলের চেয়ে এ সময় এভারটনই আক্রমণে ও সুযোগ তৈরিতে বেশি এগিয়ে ছিল। একাধিকবার গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে গিয়েছিল তারা। যদিও পাওয়া হয়নি গোল।

অন্য দিকে সুযোগ কম পেলেও ৭৩ মিনিটে ঠিকই বাজিমাত করে লিভারপুল। দারুণ ফিনিশিংয়ে গোল করে লিভারপুলকে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে দেন সালাহ। এটি প্রিমিয়ার লিগে চলতি মৌসুমে সালাহর ২২তম গোল।

সালাহর এই গোলের পর লিভারপুল যখন জয়ের অপেক্ষায় তখন অ্যানফিল্ডের দলটিকে বড় ধাক্কা দেয় এভারটন। একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল করেন তারকোস্কি। ভিএআর বেশ সময় নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেই গোলের সিদ্ধান্ত দেন রেফারি। ম্যাচ শেষে অবশ্য দুই দলের খেলোয়াড়রা সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন। যদিও তাতে ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব পড়েনি। পয়েন্ট ভাগাভাগি করেই মাঠ ছাড়তে হয় লিভারপুলকে।

Lading . . .