Advertisement

১৭ বছর পর প্রাণ ফিরছে বাংলাদেশের স্মৃতিতে জড়ানো ভেন্যুর

প্রকাশ: ১২ মার্চ, ২০২৫

১৭ বছর পর প্রাণ ফিরছে বাংলাদেশের স্মৃতিতে জড়ানো ভেন্যুর
১৭ বছর পর প্রাণ ফিরছে বাংলাদেশের স্মৃতিতে জড়ানো ভেন্যুর

তিমুর সাগরের পাড়ে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর ডারউইন। এ অঞ্চলে অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের নাম ‘টিআইও স্টেডিয়াম’।

গেল ১৭ বছর ধরে টিআইও স্টেডিয়ামে কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজন করা হয়নি। স্থবির হয়ে পড়েছিল এ অঞ্চলের ক্রিকেট। অবশেষে প্রায় মৃত এ স্টেডিয়ামের প্রাণ ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আগামী আগস্টে সম্ভাব্য দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজের কিছু ম্যাচ ডারউইনে আয়োজন করা হবে। যদিও এখনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি। তবে চলতি মাসের শেষ দিকে সূচি চূড়ান্ত করবে সিএ।

সিএ-এর কর্মকর্তারা আশা করছে, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে প্রথম ২ টি-টোয়েন্টি আয়োজন করা হবে ডারউইনে। তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ও প্রথম ওয়ানডে কেইরনসে ও আর শেষ ২ ওয়ানডে হবে ম্যাকাওয়ে।

মজার বিষয় হলো- অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে বাংলাদেশের স্মৃতি জড়ানো ভেন্যু ডারউইন। এই ভেন্যুতে মাত্র ৬টি (২টি টেস্ট ও ৪টি ওয়ানডে) ম্যাচ খেলেছে অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দল। এর মধ্যে ৫টিই বাংলাদেশের বিপক্ষে।

এখন পর্যন্ত দুবার অস্ট্রেলিয়া সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এর মধ্যে ২০০৩ সালে দুই ম্যাচের টেস্ট ও তিন ম্যাচের সিরিজ খেলেছে টাইগাররা। যদিও সবগুলো ম্যাচই হেরেছিল বাংলাদেশ। প্রথম টেস্ট ও তৃতীয় ওয়ানডে ম্যাচ হয়েছিল ডারউইনে।

এরপর ২০০৮ সালে দ্বিতীয় ও শেষবারের মতো অস্ট্রেলিয়া সফরে যায় বাংলাদেশ। এ সফরে অসিদের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে খেলে টাইগাররা। সবগুলোই ম্যাচই হয়েছিল ডারউইনে। স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া সিরিজটি জিতে নেয় ৩-০ ব্যবধানে।

অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চল (এনটি) ক্রিকেটের সিইও গ্যাভিন ডোভে এএপিকে বলেন, ‘২০২৩ সালে আসার পর থেকেই আমি স্পষ্ট করে বলেছি যে, আমরা উত্তরাঞ্চলীয় অঞ্চলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী। শেষবার ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করেছিলাম এবং সেটা অনেক আগে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে, এনটি সরকার ক্রিকেটের মতো একটি বিশ্বব্যাপী খেলার যে অর্থনৈতিক মূল্য রয়েছে সেটি বিবেচনা করবে। সেই সাথে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সুপারস্টারদের এখানে থাকার ইতিবাচক প্রভাব সম্প্রদায়কে অনুপ্রাণিত করার উপরও পড়তে পারে। আশা করি, আমরা এটি করতে পারবো। ডারউইনে আমরা গ্রীষ্মকালীন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট শুরু করতে পারবো, এমন ভাবনাও দারুণ।’

Lading . . .