নতুন করে চার ম্যাচ নিষিদ্ধ হলেন তাওহিদ হৃদয়
প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল, ২০২৫

নতুন করে চার ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার শাস্তি পেয়েছেন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহিদ হৃদয়। সিসিডিএমের পক্ষ থেকে মোহামেডানে ক্লাবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে তাওহিদ হৃদয়ের এই শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জাগোনিউজের কাছেও সেই চিঠির একটি কপি এসে পৌঁছেছে।
শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে ম্যাচে তাওহিদ হৃদয় ৩৭ রান করে আউট হন। আউট হওয়ার পর তিনি আম্পায়ারকে উদ্দেশ্য করে বাজে অঙ্গভঙ্গি করেন, সিদ্ধান্ত মানতে না পেরে কিছুক্ষণ উইকেটের ওপর দাঁড়িয়ে থাকেন এবং আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে বিরক্তি প্রকাশ করেন।

তাওহিদ হৃদয়ের এসব কাজ খেলোয়াড় আচরণবিধি পরিপন্থি। আম্পায়ারদের রিপোর্টে বিষয়গুলো উঠে আসার পর শনিবারই আম্পায়ার্স রুমে এ নিয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আচরণ বিধি লঙ্ঘণের দায়ে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ১ থেকে ২টি ডিমেরিট পয়েন্ট দেয়ার নিয়ম। ম্যাচ রেফারি তাওহিদ হৃদয়কে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করার পাশাপাশি ১টি ডিমেরিট পয়েন্ট শাস্তি ঘোষণা করে।
সিসিডিএম থেকে মোহামেডান ক্লাবের কাছে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, তাওহিদ হৃদয়ের আমলনামায় আগে থেকেই ৭টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত ছিল। নতুন একটি পয়েন্ট যুক্ত হওয়ায় মোট ৮ পয়েন্ট হয়ে গেলো। নিয়মানুসারে ৮ থেকে ১১ ডিমেরিট পয়েন্টস হলে অটোমেটিক চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন সংশ্লিষ্ট ক্রিকেটার। সে হিসেবে তাওহিদ হৃদয়কে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হলো।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে তাওহিদ হৃদয়ের নিষেধাজ্ঞার নাটক যেন থামছেই না। আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরনের দায়ে প্রথমে ২ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হয় তাকে। এরপর শাস্তি এক ম্যাচ কমিয়ে আনা হলে আম্পায়ারদের সঙ্গে বিসিবির ঝামেলা তৈরি হয়।
পূনরায় তাওহিদ হৃদয়ের শাস্তি ২ ম্যাচ করা হলে ক্রিকেটাররা একাট্টা হয়ে বিসিবি সভাপতির সঙ্গে দেখা করে। ফলে বিসিবি অভিনব একটি সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে। নতুন সিদ্ধান্ত হিসেবে তাওহিদ হৃদয় এক ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা ভোগ করবেন আগামী মৌসুমে। অথ্যাৎ, লিগে বাকি থাকা দুটি ম্যাচই খেলতে পারবেন তিনি।
কিন্তু শনিবার গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের বিপক্ষে খেলতে গিয়ে আবারও আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণ করলেন হৃদয়। যার ফলে পেলেন একটি ডিমেরিট পয়েন্টস। আগেরগুলোসহ তার মোট আটটি ডিমেরিট হয়ে গেলো এবং অটোমেটিক আট ম্যাচ নিষিদ্ধ হয়ে গেলেন জাতীয় দলের এই ব্যাটার।