Advertisement

যশোরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে কিশোর আটক, ছিনিয়ে নিয়ে মারধরের চেষ্টা বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের

প্রকাশ: ১৯ মার্চ, ২০২৫

24obnd

যশোরে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আটক এক কিশোরকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধরের চেষ্টা করে একদল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী। এ সময় পুলিশের এক কনস্টেবল আহত হন।

আজ বুধবার দুপুরে শহরের একটি এলাকায় চার বছরের এক মেয়েশিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল ওই কিশোরের বিরুদ্ধে। বিকেলে তাকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। এরপর তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়।

এদিকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে বিকেলে ওই কিশোরকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে। সন্ধ্যায় ব্যাপক নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ওই কিশোরকে আদালতে পাঠালে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

কোতোয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী বাবুল হোসেন বলেন, ওই কিশোরের বয়স নির্ধারণ করে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভুক্তভোগী শিশুটির বাবা বলেন, ‘আজ দুপুরের দিকে আমার স্ত্রী ও ছেলে বাড়িতে ছিল না। দুপুরে খাবার খেতে বাড়িতে গিয়ে দেখি, প্রতিবেশী ওই ছেলে আমার শিশুকন্যাকে ধর্ষণের চেষ্টা করছে। এ সময় আমি মেয়েকে উদ্ধার করি। একই সঙ্গে ছেলেটিকে আটক করি। কিন্তু ছেলেটি হাত থেকে ছুটে পালিয়ে যায়।’

এদিকে স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটির ভাইয়ের কাছ থেকে খবর পেয়ে যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজ ও জিলা স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত কিশোরকে আটকের চেষ্টা করে। সেখানে ওই কিশোরের বাবা ও তাঁদের পক্ষের লোকজনের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। এরপর বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীরা থানায় গিয়ে অবস্থান নেয়। বিকেল ৪টার দিকে পুলিশ অভিযুক্ত কিশোরকে আটক করে থানায় নেওয়ার সময় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা তাকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিকেল ৫টার দিকে থানা ভবনের ভেতরে অভিযুক্ত কিশোরের পক্ষ নিয়ে এক ব্যক্তি কথা বলায় তাঁকে মারধর করে শিক্ষার্থীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থানায় কর্তব্যরত পুলিশ বিক্ষুব্ধ লোকজনকে ভবনের বাইরে নিয়ে যেতে চাইলে এক পুলিশ সদস্যকে ধাওয়া করে বিক্ষুব্ধরা। ওসির কক্ষে হেফাজতে থাকা ওই কিশোরকে কয়েক দফা ছিনিয়ে নেওয়া চেষ্টা করে তারা। এ সময় থানার ভেতরে তারা ধর্ষণের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এ অবস্থায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল বাশারসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা কোতোয়ালি থানায় গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।

Lading . . .